রুহুল আমিন: ২৬ শে ডিসেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রচারণায় অংশ হিসাবে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় মাইকিং, মিছিল-মিটিং চলছে। প্রায় প্রতিটি বাজারে/গ্রামে/এলাকায় প্রার্থীদের নির্বাচনী অফিস স্থাপন করেছে প্রার্থীগণ। এ সকল অফিসে প্রতিযোগিতা করে দিন-রাত বাজানো হচ্ছে সাউন্ড বক্স, মাইক। এছাড়াও মিছিলে বাজানো উচ্চ শব্দের বাঁশি। মানুষের স্বাভাবিক বা সহনীয় শব্দের মাত্রা ৫৫ থেকে ৬০ ডেসিবেল। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ৬০ ডেসিবেলের অধিক শব্দ যদি দীর্ঘসময় ধরে থাকে তাহলে সাময়িক বধিরতা আর ১০০ ডেসিবেলের বেশি হলে স্থায়ী বধিরতা হতে পারে। উচ্চ শব্দে এসব বাজানোর ফলে শব্দ দূষণের শিকার হচ্ছেন সকল বয়সী মানুষ। দিনের পাশাপাশি অনেক রাত পর্যন্ত উচ্চশব্দে এসব বাজানোর ফলে এলাকার মানুষ রাতের বেলা ঘুমাতে পারছে না। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ব্যাঘাত ঘটছে,পড়াশোনায় মন বসাতে পারছে না তারা। তবে সবচেয়ে ঝুঁকিতে শিশু ও বৃদ্ধরা।এলাকাবাসী কাজে মন বসাতে পারছেনা,মেজাজ খিটখিটে, হার্টের সমস্যা,অবসাদ শ্রবনশক্তি কমা, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগসহ নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। যারা সমাজ উন্নয়ন করার জন্য নির্বাচনে নানা ইশতেহার দিচ্ছেন, তাদের এ বিষয়ে সজাগ থাকা জরুরি! তারা যদি নির্বাচিত হওয়ার আগেই জনগণের সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়, নির্বাচিত হওয়ার পর তারা জনগণের কতটা উপকারে আসবে সেটা ভেবে দেখার বিষয়! এ সকল শব্দ দূষণ রোধে দায়িত্বরত প্রশাসনের দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ কামনা করছি।
প্রকাশিত: আজকালের খবর, সংবাদ, বাংলাদেশের খবর
প্রকাশকাল: ২১ ডিসেম্বর ২০২১
আপনার মতামত লিখুন :