রুহুল আমিন: স্মৃতিসৌধ মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি জাতির শ্রদ্ধার উজ্জ্বল নিদর্শন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। বীর শহীদদের স্মৃতি নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে বাঙ্গালী জাতি সত্ত্বার বড় আবেগের জায়গা স্মৃতিসৌধ। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ মিনারের পাশেই রয়েছে স্মৃতিসৌধ। প্রতিদিন স্মৃতিসৌধের বেদীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, বহিরাগত তরুণ-তরুণী সহ আরও অনেকে জুতা পায়েই উঠে যায়। অনেকে আবার জুতা পায়ে বেদীতে উঠে ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করে। কখনো কখনো আবার এটি নেশাখোরদের আস্তানায় পরিণত হতে দেখা যায়। স্মৃতিসৌধে এসব ঘটনা আমাদের জন্য আসলেই লজ্জার। এ বিষয়ে আমাদের সচেতন হওয়া উচিত। স্মৃতিসৌধের পবিত্রতা রক্ষা করা সকল নাগরিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য। শহীদদের সম্মান ও স্মৃতিসৌধের রক্ষায় ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। স্মৃতিসৌধের বেদীতে জুতা পায়ে যেন কেউ না উঠে সেজন্য সাইনবোর্ড লাগানো এবং সার্বক্ষনিক তদারকি করার জন্য একজন আনসার সদস্য নিযুক্ত করা যেতে পারে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
প্রকাশিত: বাংলাদেশ বুলেটিন
প্রকাশকাল:১ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
আপনার মতামত লিখুন :