প্রস্থান পৃথিবীর ভয়ংকর সৌন্দর্য


আশিকুর রহমান প্রকাশের সময় : আগস্ট ১৫, ২০২৩, ৬:৫৭ অপরাহ্ণ /
প্রস্থান পৃথিবীর ভয়ংকর সৌন্দর্য

আশিকুর রহমান: প্রস্থান হলো প্রয়াণ বা গমন করা। প্রস্থান আমাদের হৃদয়ে দাগ কাটা শব্দ তবে প্রস্থাণ সবসময় বিরহের হয়না, প্রস্থাণ পৃথিবীর সৌন্দর্যও ফুঁটিয়ে তোলে। একঘেয়েমি কারো কাছে থাকলেও শ্বাসরোধ হয় তাই নিজেকে মেলে ধরতে মুক্ত বাতাসে শ্বাস নেওয়া, নিজেকে মুক্ত করা প্রয়োজন। আমাদের সকলের স্বভাবজাত চাওয়া বংশ পরম্পরায় আপনজন সবসময়ই এমনকি চিরদিনই কাছে থাকুক কিন্তু তা হবার নয়। মৃত্যু অনিবার্য বলে, মানুষের ভঙ্গুর বৈশিষ্ট্যের ফলেই পৃথিবী পৃষ্ঠে মানুষের অস্তিত্ব বিদ্যমান। মানুষের সৃষ্টিই হয়েছে মৃত্যুর জন্য।
আমরা পিতা-মাতা কিংবা আপনজনকে অফুরন্ত ভালবাসি। আমরা চাই আপনজন চিরদিনই কাছে থাকুক, তাদের প্রস্থাণ না ঘটুক। কিন্তু আমাদের পিতা-মাতা তাদের পিতা-মাতাকে তেমনি একইভাবে ভালবাসেন। মৃত্যু অনিবার্য নাহলে তারাও চাইতেন তাদের পিতা-মাতা চিরদিনই কাছে থাকুক, তাদের কোন কালেই প্রস্থাণ না ঘটুক। প্রত্যেকে তাদের আপনজনকে আঁকড়ে ধরতে চাইতো। এভাবে পৃথিবী সৃষ্টির শুরু থেকেই প্রত্যেকে চাইতো তাদের পিতা-মাতা কিংবা আপনজন চিরদিন বেঁচে থাকুক। এমন হলে পৃথিবীর রুপ আজ কিরুপ হতো তা ভাববার বিষয়। জনসংখ্যা ও ভূখণ্ডের তারতম্যের ফলে পৃথিবীতে অরাজকতার সৃষ্টি হতো। এছাড়া মৃত্যু অনিবার্য না হলে সৃষ্টি হতো পাপাচার, ব্যাভিচার, মারামারি-হানাহানি, পৃথিবী হতো এক যুদ্ধের লীলাভূমি। আমাদের বাধ্যগত ভাবে মানতেই হয় প্রস্থাণই পৃথিবীর ভয়ংকর সৌন্দর্য। বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে চাই আমাদের আপনজনেরা বিচরণ করুক নীল আকাশে, ভালো থাকুক পরপারে।

উৎসর্গ- যিনি বলেছিলেন, তোকে কিছুই দিতে পারিনি কিন্তু  দোয়া দিয়ে গেলাম, অনেক ভালো থাকবি। সেই শ্রদ্ধেয় ও সম্মানিত বাবা, আল্লাহ ওনাকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসীব করুন।

মান: অপ্রকাশিত।

লেখা: ১১ ডিসেম্বর, ২০২২