আশিকুর রহমান: বন্ধুত্ব, সে হচ্ছে রক্তহীন এক আত্মার সম্পর্ক, বাবা-মা কিংবা পরিবার কখনো কোথাও বলতে না পারা কথাগুলো যার কাছে নির্দিধায় বলা যায়। বন্ধুত্ব কোন বয়স মানেনা তাই বন্ধুর সাথে মন খুলে কথা বলা, হাসি ঠাট্টা করা আর উদ্ভট পাগলামি করার একমাত্র আধার এ বন্ধুত্ব। যেই সম্পর্ক এত সুখের সেখানে চলার পথে বন্ধুত্বের মাঝে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হতে পারে। এমন অবস্থায় ঝগড়া-বিবাদ, ইগো আর মনোমালিন্যকে প্রাধান্য না দিয়ে বন্ধুর সাথে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করুন। বিবাদের বিষয় নিয়ে একে-অপরের সাথে আলোচনা করুন। বন্ধুত্ব, প্রেম যেকোনো সম্পর্কই হোক না কেন প্রত্যেক সম্পর্কে সম্মান থাকা চাই। অনেক সময় একে অপরের কথায় বা হাসি ঠাট্টার ছলে বন্ধু অপমানিতবোধ করেন, এই বিষয়ে লক্ষ রাখতে হবে যেন বন্ধুত্বের মাঝে সম্মান খোয়া না যায়। কোন বিষয়ে আলোচনার বিষয়বস্তু থাকলে অপর বন্ধুকে বলার সুযোগ দিন এতে বন্ধুত্বে আত্মবিশ্বাস বাড়ে। একে অপরের বিপদ-আপদ, দুঃসময়ে পাশে থাকলে বন্ধু সাহস পায়, তাই যেকোনো অবস্থায় বন্ধুর পাশে থাকার চেষ্টা করুন। এছাড়া প্রতিটি সম্পর্কে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নির্ভরশীল না হয়ে একে অপরকে সময় দিন। এতে রাগ বা অভিমানের অনুভূতি থাকলেও তা ভাঙ্গানোর সুযোগ পাওয়া যায়। সর্বোপরি, বন্ধুকে বুঝুন, সম্মান করুন এবং একে-অপরের যত্ন নিন।
প্রকাশিত: বাংলাদেশ বুলেটিন
প্রকাশকাল: ১৬ আগস্ট, ২০২২
লিংক: https://shorturl.at/qrCRX
আপনার মতামত লিখুন :