তারুণ্য লাইব্রেরি


Mamun Misbah প্রকাশের সময় : আগস্ট ১৩, ২০২৩, ২:৪৪ অপরাহ্ণ /
তারুণ্য লাইব্রেরি

মামুন মিসবাহ: বই—জ্ঞান অর্জনের অন্যতম মাধ্যমগুলোর একটি। বইপাঠে মানুষের জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি পায়। মানুষ খুঁজে পায়—সুচিন্তা ও ঠিক-বেঠিকের ফারাক। মূর্খতার গহিন আঁধার কেঁটে মানুষ জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হয়। জ্ঞান মানুষের জীবন ও পথচলার খোরাক। সেই সুবাদে মানুষের বইপাঠের চাহিদা ছিলো আকাশচুম্বী। লাইব্রেরি ও বইমেলাতে দেখা যেতো জ্ঞানপিপাসুদের উপচে পড়া ভিড়। গড়ে উঠেছিলো বইপ্রেমীদের অসংখ্য পারিবারিক লাইব্রেরিও। কিন্তু, তথ্য ও প্রযুক্তির এই যুগে জ্ঞানার্জনের মাধ্যম সহজ হওয়ায় মানুষ ধীরেধীরে বই থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। কমে যাচ্ছে—বইপ্রেমীদের সংখ্যাও।

তাই, শিক্ষার্থীদের পাঠ্যভাস গড়ে তুলতে ও জ্ঞানপিপাসুদের অন্তরে নতুন করে বইপ্রেম জাগ্রত করতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বটতলায় গড়ে উঠেছে ‘তারুণ্য লাইব্রেরি’। প্রতি বুধবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত প্রায় আড়াইঘণ্টা ধরে চলে ‘তারুণ্য লাইব্রেরি’র কার্যক্রম। তারুণ্যের সদস্যসহ ইবির সকল শিক্ষার্থী নির্দিষ্ট ফরমালিটি পূরণ করে ‘তারুণ্য লাইব্রেরি’ থেকে বই আদান-প্রদান করতে পারে। রয়েছে বটতলায় বসেবসে বই পড়ার যথেষ্ট সু্যোগও। ‘তারুণ্য’ কর্তৃক ২০১৯ সালের ২০ মার্চ রোজ বুধবারে ছোট্ট পরিসরে শুরু হওয়া ‘তারুণ্য লাইব্রেরি’ এখন অনেকটাই সমৃদ্ধশালী। রয়েছে হাজারের উপর বই। বটতলার মুক্ত বাতাসে বেড়েছে অসংখ্য পাঠকও। শিক্ষার্থীদের অবসর সময়ের প্রায়ই বটতলায় দেখা যায় বইপ্রেমীদের ভিড়। যেন এক অনুপম সুন্দর মুহূর্তের নিদারুণ স্থির চিত্র।

উল্লেখ্য, ‘অবারিত সম্ভাবনা নিয়ে জাগ্রত তারুণ্য’ প্রতিপাদ্য নিয়ে ২০০৯ সালের ২৯ জুলাই যাত্রা শুরু করে সংগঠনটি। বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে তারুণ্যর শক্তিকে কাজে লাগানো, তরুণদের স্বেচ্ছাসেবী মনোভাবসম্পন্ন করে গড়ে তোলা, নেতৃত্বের দক্ষতা তৈরি, সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজ, শিল্প ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ গঠনে বইপাঠ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় অংশগ্রহণ, বনায়ন, রক্তদান, শীতবস্ত্র বিতরণ ও অসহায় শিক্ষার্থীদের সহযোগিতাসহ নানাবিধ সামাজিক কাজ করে যাচ্ছে ‘তারুণ্য’।

প্রকাশিত:
• দৈনিক জনকণ্ঠ (৩০.১০.২০২২)
লিংক: https://www.dailyjanakantha.com/education/news/667930
• দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ (০৭.১১.২০২২)
লিংক:
https://www.protidinersangbad.com/todays-newspaper/campus/363335