মামুন মিসবাহ: একটি সুন্দর সমাজ গঠনের প্রত্যয় বুকে নিয়ে যে সমস্ত তরুণ নীরবে-নিভৃতে কাজ করে যাচ্ছেন। আত্মপ্রচার নয়, আত্মতৃপ্তি ও অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই যাদের মূল উদ্দেশ্য। সেই দিলওয়ালা তরুণদের একজন হলেন মজিবুল হক সবুজ। অহর্নিশি তিনি মানবসেবায় নিয়োজিত থেকে মানবপ্রেমের উজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে যাচ্ছেন। দূর থেকে দূরান্তর, একশহর থেকে আরেকশহর, একপ্রান্ত থেকে আরেকপ্রান্ত; সবখানে ঘুরে বেড়ান মানবতার ফেরিওয়ালা হয়ে। যেখানেই দেখেন অসহায়, গরিব-অভাবী, দুর্দশাগ্রস্ত মানুষ; সেখানেই ছুটে যান তাদের মুখে হাসি ফোটাতে। বলতে গেলে, মজিবুল হক সবুজ হলেন একজন রিয়েল লাইফ হিরো।
ছোটবেলা থেকেই মজিবুল হক জনকল্যাণমূলক কাজের প্রতি আগ্রহী ছিলেন। স্বপ্ন দেখতেন দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানোর। ২০১৫ সালে টেক্সটাইল থেকে বিএসসি সম্পূর্ণ করার পর টেক্সটাইল ডিপার্টমেন্টেই প্রথম চাকরি শুরু করেন। এরপর বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কোম্পানিতেও চাকরি করেছিলেন। কিন্তু, ২০১৯ সালে এসে পুরোপুরি ফ্রিল্যান্সিংয়ের সাথে যুক্ত হয়ে যান। আর ঐ বছরেই তার ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজ গ্রিন প্রোডাকশন যাত্রা শুরু করে। যেখানে মানবসেবার বিভিন্ন খণ্ডচিত্র আপলোড করা হত। যা এখন প্রায় ছয়লাখের পরিবার। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো একসময় যার স্বপ্ন ছিল, তা তার উপার্জনের কিছু টাকায় ছোট্ট করে আলোর মুখ দেখে। পরে সেটা গ্রিন প্রোডাকশনের মাধ্যমে বিস্তর রূপে সকলের কাছে পৌঁছে যায়। গ্রিন প্রোডাকশনের এই মানবিক কাজগুলো ইউটিউব ও ফেসবুকে দেখে দেশ ও বিদেশের অনেকেই অর্থ দিয়ে এই সমস্ত ভালো কাজে যুক্ত হয়। আর তা অসহায় ও দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের কাছে পৌঁছানোর দায়িত্ব পড়ে মজিবুল হক সবুজের উপর। আজ প্রায় পাঁচবছর ধরে সফলতার সাথে এই কাজ আঞ্জাম দিয়ে আসছেন তিনি। আর কুড়িয়ে যাচ্ছেন অসংখ্য মানুষের ভালোবাসা। তার ভবিষ্যত পরিকল্পনা সম্পর্ক তিনি জানান, ‘আমার উদ্দেশ্য ভবিষ্যতে মানবিক কাজটাকে আরও বড় করা। ফুটপাতে থাকা বৃদ্ধদের জন্য একটা বাসস্থান এবং একটি ফ্রি খাবারের হোটেল গড়া। পাশাপাশি পথশিশুদের নিয়েও কাজ করা। বলতে গেলে, মানবপ্রেমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত মজিবুল হক সবুজ।
প্রকাশিত:
• প্রতিদিনের সংবাদ (০৪.০৬.২০২৩)
লিংক: https://shorturl.at/jnwA3
আপনার মতামত লিখুন :