আশিকুর রহমান: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের এক সত্ত্বার অংশ। তার হাত ধরেই একাত্তরে এসেছিল স্বাধীনতা। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। অবিসংবাদিত এই নেতা, বাংলাদেশ গড়ার এই কারিগরকে শ্রদ্ধা জানিয়ে শিক্ষার্থীদের চেতনায় বঙ্গবন্ধুকে তুলে ধরেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী- আশিকুর রহমান।
আধুনিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধু:
‘বঙ্গবন্ধু’ এটি শুধু একটি নাম নয়, এটি পুরো জাতির আবেগ ও ভালোবাসার নাম। বঙ্গবন্ধু যে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত, সুস্থ, চেতনা সমৃদ্ধ, কোনোরকম ভেদ বৈষম্যহীন, শোষণহীন, অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উদ্বুদ্ধ দেশপ্রেমিক মানুষের উন্নত সমৃদ্ধ এক আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন তিনি দেখেছিলেন। বর্তমান বিশ্বের নানা সমস্যা, চড়াই-উৎরাইকে পেছনে ফেলে শোকের এই মাসে শোককে শক্তিতে রূপান্তর করে, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে উঠবে এই আমাদের প্রত্যাশা।
আবু তালহা আকাশ
শিক্ষার্থী, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ, ইবি।
বঙ্গবন্ধু, এ যেন বাংলাদেশের-ই অপর নাম:
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু একটি নাম ই না, এ যেনো বাংলাদেশের ই অপর একটি নাম। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর আমরা পেয়েছি এই স্বাধীন “বাংলাদেশ”। কথায় আছে, স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে হয়তো বাঙালি জাতি আজও পরাধীনতার শিকল পায়ে পড়ে থাকতো। বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ তিতিক্ষা ও সে সময়ের তরুণদের চেষ্টার ফলে আজকের এই স্বাধীনতা অর্জন করতে পেরেছি আমরা। কিন্তু এই স্বাধীনতা রক্ষার দায়িত্ব আমাদেরই। বর্তমান তরুণ সমাজকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে প্রতি পদক্ষেপ আগাতে হবে। মুখে বঙ্গবন্ধু কিন্তু ভেতরে বিপরীত চিন্তা ধারণ করলে আমরা আমাদের সোনার বাংলাদেশ হারাবো তথা বিনষ্ট হবে। যার দায় আমাদেরই।
শ্যামলী তানজিন অনু
শিক্ষার্থী, বাংলা বিভাগ, ইবি।
তরুণ প্রজন্মের অনুপ্রেরণার উৎস:
বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু এক সত্তার দুটি অংশ। পৃথিবীর ইতিহাসে মুক্তি ও স্বাধীনতার জন্য নিজ জাতিকে সামনে রেখে নেতৃত্ব দেওয়া যে কয়েকজন অগ্রপথিকদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয়, বঙ্গবন্ধু তাদের অন্যতম। বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশের অবস্থান ও স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র গঠনে বঙ্গবন্ধুর অবদান অবিস্মরণীয়। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে পৃথিবীর বুকে সদ্য জন্ম নেয়া ছোট্ট যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে ও বহির্বিশ্বের স্বীকৃতি আদায়ে আত্মনিয়োগ তরুণদের আরো উদ্যমী করে তুলবে। শ্মশান বাংলাকে আমরা সোনার বাংলা করে গড়ে তুলতে তার যে ত্যাগ তিতিক্ষা তা এখনো তরুণ প্রজন্মের অনুপ্রেরণার এক নাম। বর্তমান তরুণ সমাজ তার সাহসিকতা, দেশপ্রেম, পররাষ্ট্রনীতির দক্ষতাকে ধারণ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে এমনটাই প্রত্যাশা।
মো: হাবিবুর রহমান
শিক্ষার্থী, ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগ, ইবি।
বঙ্গবন্ধু তরুণদের হৃদয়ে থেকে যাবেন আদর্শ হয়ে:
১৫ আগস্ট! একটি ক্ষত। যা কখনো শুকাবার নয়।
ক্যালেন্ডারের পাতায় এটি একটি সংখ্যা হলেও এটি বাংলাদেশের স্বপ্নকে হত্যা করার দিন। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশ তখন স্বপ্ন দেখছিলো এগিয়া যাওয়ার আর এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। এই অবিসংবাদিত নেতার স্বপ্ন ছিলো বাঙালির স্বাধীনতা ও জাতিসত্তা প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু দূর্ভাগ্য! আজীবন স্বপ্নের সেই স্বাধীন বাংলাদেশের একদল ঘাতক তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। সেদিন ছিলো বাঙালী জাতির ইতিহাসে এক কলঙ্কময় দিন। ঘাতকের বুলেট ‘বঙ্গবন্ধু’ নামের প্রদীপ নিভিয়ে দিলেও বাঙালির হৃদয় থেকে তাকে সরাতে পারেনি। বঙ্গবন্ধু ছিলেন, আছেন, থাকবেন একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক এবং বাঙালির জাতির পিতা হিসেবে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের কাছে শেখ মুজিবের অবিনাশী চেতনা ও আদর্শ চির প্রবাহমান থাকবে।
রুখসানা খাতুন ইতি
শিক্ষার্থী, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ, ইবি।
স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার কারিগর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান:
যদি রাত পোহালে শোনা যেত, বঙ্গবন্ধু মরে নাই। গানের চরণ দুটি যদি সত্যি সত্য হয়ে প্রকাশ পেত। তবে ঠিকই বিশ্ব ফিরে পেত এক মহান নেতা। আর তাঁর নেতৃত্বে গড়ে উঠত সোনার বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বদা তরুণদের অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে, অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে শিখিয়েছেন। তাঁর বিচক্ষণ ও সঠিক নেতৃত্বের মাধ্যমে আমরা পেয়েছিলাম স্বাধীন বাংলাদেশ এবং স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে ভঙ্গুর দেশটি তার নেতৃত্বে ঘুরে দাঁড়াচ্ছিলো। হঠাৎ সব স্বপ্ন ভেঙে গেলো, ১৫ই আগস্ট সপরিবারে নিজগৃহে নির্মমভাবে তাকে হত্যা করা হল। বাঙালি হারালো সোনার বাংলা গড়ার কারিগর, আমরা হারালাম একজন সেরা দেশপ্রেমিক। তিনি বিশ্বাস করতেন, এদেশের তরুণরাই সে সোনার বাংলা গড়ে তুলবে। আর তার আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে ঠিকই একদিন গড়ে তুলবে সোনার বাংলাদেশ।
খায়রুজ্জামান খান সানি
শিক্ষার্থী, ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ, ইবি।
প্রকাশকাল: ১৩ আগস্ট, ২০২৩
প্রকাশিত: দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ
লিংক: https://epaper.protidinersangbad.com/
আপনার মতামত লিখুন :